ইভাঙ্কাকে নিয়ে কাড়াকাড়ি চীনে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের নাম নিয়ে রীতিমতো কাড়াকাড়ি পড়ে গেছে চীনে। সে দেশের ব্যবসায়ীরা চাইছেন ‘ইভাঙ্কা’ নামটি তাঁদের পণ্যের ট্রেডমার্ক হিসেবে ব্যবহার করতে।
চীনে গত বছরের ৯ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইভাঙ্কা নামটির জন্য ২৫৮টি ট্রেডমার্ক আবেদন জমা পড়েছে। এসব আবেদনে হজমি বড়ি থেকে শুরু করে অন্তর্বাস, এমনকি স্পা সার্ভিস, ম্যাসাজ মেশিন, কসমেটিক সার্জারি, স্যানিটারি ন্যাপকিন, ব্লাউজ, অলংকার, সাঁতারের পোশাক, ক্যান্ডি, কফি, মদ, জাজিম, সোফা, চিকিৎসাসামগ্রী—প্রায় সব ধরনের পণ্যে নামটি ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
বলা হচ্ছে, চীনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যে ইভাঙ্কাকে খামোখাই ‘দেবীর মতো সুন্দরী’ বলে তারিফ করেন না, ব্যবসায়ীদের এই আগ্রহ তারই প্রমাণ।
বাবা ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার চালাচ্ছিলেন, তখনই বিভিন্ন জনসভায় নিয়মিত হাজির থাকা এবং বক্তব্য দেওয়ার সুবাদে বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়ে ওঠেন ইভাঙ্কা। তাঁর সৌন্দর্য অনেককেই টেনেছে। বিশেষ করে চীনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ট্রাম্পতনয়া। আর এটিকেই কাজে লাগাতে চান সেখানকার ব্যবসায়ীরা।
চীনের ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশন কার্যালয় জানিয়েছে, আবেদনকারী কোম্পানিগুলি ‘ইভাঙ্কা’, ‘ইভাঙ্কা ট্রাম্প’, চীনা উচ্চারণে ‘ইউয়াঙ্কা’, ‘ইয়ুঙ্কা’—এ রকম নাম ট্রেডমার্ক হিসেবে চাইছে। কিন্তু যাঁর নামে কোম্পানিগুলি ট্রেডমার্ক করতে চাচ্ছে, সেই ইভাঙ্কা ট্রাম্পের সঙ্গে তাদের কারও দূরদূরান্তের সম্পর্কও নেই।
এমনকি ফোশান শহরের একটি কসমেটিক সার্জারি প্রতিষ্ঠান তাদের নাম ‘ফোশান ইয়াঙ্কা (ইভাঙ্কার চীনা উচ্চারণ) মেডিকেল ম্যানেজমেন্ট’ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে। তারা খদ্দেরদের যতটা সম্ভব ইভাঙ্কার চেহারার মতো চেহারা বানিয়ে দেওয়ার অফারও দিচ্ছে।
তবে শেষ পর্যন্ত ইভাঙ্কার নামে ট্রেডমার্কের অনুমতি চীনের কোম্পানিগুলি পাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ, দেশটির সুপ্রিম কোর্ট গত মাসে এক রুল জারি করে বলেছেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পরিমণ্ডলে বিখ্যাত হওয়া কোনও ব্যক্তির নাম ট্রেডমার্ক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
ইভাঙ্কা ট্রাম্প নিজেও একজন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ব্যবসায়ী। তাঁর নিজের নামে বহু পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্রি হয়। চীনেও তাঁর নিজের কোম্পানির ন’টি পণ্য নিবন্ধন পেয়েছে। এ ছাড়া ২৬টি পণ্যের নিবন্ধনের আবেদন জমা রয়েছে এবং ৩টি আবেদন খারিজ হয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/নাজমুল